আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন

অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।

ইলাহ্‌ (الاله) অর্থ হলোঃ সম্মান ও বড়ত্বের কারণে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় যার উপাসনা করা হয়। আর এটাই মূলতঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ এর তাৎপর্য। অর্থাৎ আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই।

আল্লাহ্‌ বলেন

“আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ্‌। সেই দয়াময় ও পরম দয়ালু ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই।”[সূরা বাকারা ২:১৬৩] আরো বলেন, “আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানবানগণও এ সাক্ষ্য প্রদান করে। তিনি (আল্লাহ্‌) ন্যায় ও ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।[সূরা আলে ইমরান ৩:১৮]

আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে আর যা কিছুর ইবাদত করা হয়, কিংবা আল্লাহ্‌র সাথে আর যারই উপাসনা করা হয়…তার উপাস্যত্ব নিঃসন্দেহে বাতিল। কারণ তিনি ছাড়া আর কারো উপাসনা পাওয়ার অধিকার নেই। আল্লাহ্‌ বলেন, “আল্লাহ্‌, তিনিই একমাত্র সত্য। তারা তার পরিবর্তে যাকে ডাকে, তা বাতিল। আর আল্লাহ্‌ সুউচ্চ, মহান।”[সূরা হজ্জ ২২:৬২]

উপাসনা একমাত্র আল্লাহর জন্য

আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কাউকে إِلَهতথা উপাস্য বা দেবতা নাম দিলেই সে উপাসনা পাওয়ার উপযুক্ত হতে পারে না। “লাত, মানাত, উজ্জা-র” প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌ বলেন, “এগুলোতো কতক নামমাত্র, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছ।

যার সমর্থনে আল্লাহ্‌ কোন দলীল প্রেরণ করেননি।”[সূরা নাজম: ২৩] ইউসুফ (আঃ) এর গল্প বলতে গিয়ে আল্লাহ্‌ ইরশাদ করেন, ইউসুফ কারাগারে তার দু’সঙ্গীকে বলেছিলেন, “ভিন্ন ভিন্ন বিক্ষিপ্ত বহু প্রতিপালক শ্রেয়? নাকি পরাক্রমশালী এক আল্লাহ্‌? তাঁকে বাদ দিয়ে তোমরা শুধু কতকগুলো নামের ইবাদত করছো, যে সব নাম তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছো। এইগুলোর কোন প্রমাণ আল্লাহ্‌ পাঠান নাই।”[সূরা ইউসুফ ১২:৩৯-৪০]

আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়

একমাত্র তাঁর জন্য ইবাদতকে একীভূত করতে হবে। কোন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, কিংবা প্রেরিত নবী, কিংবা অন্য কোন কিছুই এ ক্ষেত্রে তাঁর অংশীদার হতে পারে না। এজন্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলদের দাওয়াতের মূল শ্লোগান ছিল একটিই।

“আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই।” لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ । আল্লাহ্‌ বলেন, “আমি তোমার পূর্বে এমন কোন রাসূল প্রেরণ করি নাই, তার প্রতি ওহী ব্যতীত যে- আমি ছাড়া অন্য কোন সত্য মাবুদ নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত কর।”[সূরা আম্বিয়া, ২১:২৫] আল্লাহ্‌ আরো বলেন, “আমি প্রত্যেক জাতির জন্য রাসূল পাঠিয়েছি এ জন্য যে, তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদত করবে এবং তাগুতকে বর্জন করবে।”[সূরা নাহল, ১৬:৩৬]

এতকিছুর পরও মুশরিকরা কিভাবে আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে অন্যান্য বাতিল উপাস্যদের উপাসনা করে?!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *