সঠিক ইসলামী আকীদা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের আবশ্যকতা

প্রিয় ভাইগণ!

আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এবং আপনাদেরকে ইসলামের সঠিক আকীদা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের তাওফীক দান করুন। কেননা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ইসলামের সহীহ আকীদা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা জরুরী। সহীহ আকীদার অর্থ এবং তার ভিত্তি সম্পর্কে জানা আবশ্যক। সে সঙ্গে সহীহ আকীদা পরিপন্থী এবং যা এটাকে ভঙ্গ ও বাতিল করে দেয় সে সম্পর্কেও জানা আবশ্যক। বড় এবং ছোট উভয় প্রকার শিরকই সহীহ আকীদাকে ভঙ্গ কিংবা ত্রুটিপূর্ণ করে দেয়।

আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে বলেন,

‘‘তুমি জেনে নাও যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। অতঃপর তোমার গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করো’’। (সূরা মুহাম্মাদ: ১৯)

ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ তার সহীহ গ্রন্থে তাওহীদের জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে যে অধ্যায় রচনা করেছেন, তা হলো باب العلم قبل القول والعمل অর্থাৎ কথা ও কাজের আগে জ্ঞান থাকা জরুরী। অতঃপর তিনি উপরোক্ত আয়াত দিয়ে দলীল পেশ করেছেন।

হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

ইবনুল মুনীর বলেছেন, ইমাম বুখারীর উদ্দেশ্য হলো কথা ও আচরণের বিশুদ্ধতার জন্য জ্ঞান থাকা জরুরী। সুতরাং জ্ঞান ছাড়া কথা ও আচরণের কোনো মূল্য নেই। তাই তাওহীদের জ্ঞানকে কথা ও কাজের উপর প্রাধান্য দিতে হবে। তাওহীদের জ্ঞানই নিয়তকে পরিশুদ্ধ করে। আর নিয়ত মানুষের আমলকে বিশুদ্ধতা দান করে।

আকীদা শিক্ষা দেয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব

  • এ কারণেই আলেমগণ আকীদার হুকুম-আহকাম শিক্ষা করা এবং এটাকে শিক্ষা দেয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন।
  • তারা সকল প্রকার ইলম অর্জনের উপর সহীহ আকীদার ইলম অর্জনকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
  • এ বিষয়ে তারা নির্দিষ্টভাবে অনেক কিতাব রচনা করেছেন।
  • এতে তারা বিস্তারিতভাবে আকীদার মাসায়েল এবং তা গ্রহণ করার আবশ্যকতা বর্ণনা করেছেন।
  • সে সঙ্গে তারা সহীহ আকীদা ভঙ্গকারী বা এটাকে ত্রুটিযুক্তকারী শিরক, বিদআত এবং কুসংস্কারগুলোও বর্ণনা করেছেন।
  • এটিই হচ্ছে لاإله إلا الله -এর ব্যাখ্যা। এটি শুধু মুখের উচ্চারণের নাম নয়।
  • বরং এর অর্থ, মর্মার্থ, তাৎপর্য ও দাবি রয়েছে।
  • এগুলো জানা এবং প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সে অনুপাতে আমল করা আবশ্যক।
  • এ আকীদাকে ভঙ্গকারী এবং ত্রুটিযুক্তকারী অনেক বিষয় রয়েছে।
  • এগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা ব্যতীত কারো কাছে এটা পরিষ্কার হয় না।

আমীরুল মুমিনীন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন,

‘‘অচিরেই ইসলামের বন্ধন (হুকুম-আহকাম, আদেশ-নিষেধ ও বিধি-বিধান) একটি একটি করে খুলে ফেলা হবে। বিশেষ করে যখন ইসলামের মধ্যে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা কুফর ও শিরক সম্পর্কে অজ্ঞ হবে।

Madbor Logo
Facebook logo
Youtube icon

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *