কুরআন এর জ্ঞান

ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহর বাণী.

অবতীর্ণ

এই কিতাব আল্লাহর ফেরেশতা জিবরাইল এর মাধ্যমে ইসলামিক নবি মুহাম্মাদ এর কাছে মৌখিকভাবে ভাষণ আকারে কুরআনের আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন,

দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। কুরআনের প্রথম আয়াত অবতীর্ণ হয় ৬০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর যখন মুহাম্মাদের সাঃ- বয়স ৪০ বছর এবং অবতরণ শেষ হয় মুহাম্মাদের সাঃ- তিরোধানের বছর অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে।

নবুয়তের প্রমাণ

মুহাম্মদ সাঃ-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক ঘটনা যা তার নবুয়তের প্রমাণস্বরূপ। এবং ঐশ্বরিক বার্তা প্রেরণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায় যা আদম থেকে শুরু হয়ে মুহাম্মাদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

ইসলামি ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবি মুহাম্মাদ সাঃ-এর নিকট অবতীর্ণ হয়।

সূরার সংখ্যা

কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে।

নবীর যুগ

ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী, হেরা গুহায় অবস্থানকালে মুহাম্মাদ সাঃ-এর নিকট প্রথম কুরআনের বাণী প্রেরিত হয়। এরপর ২৩ বছর ধরে তার নিকট কুরআনের বাণী প্রেরিত হয়।

কুরআন শিক্ষা শুরু

হাদিস ও মুসলিম ইতিহাস অনুসারে, মুহাম্মাদ সাঃ মদীনায় হিজরত করে একটি স্বাধীন মুসলিম সম্প্রদায় গঠন করার পর তিনি তাঁর অনেক সাহাবাকে কুরআন তেলাওয়াত ও এর শিক্ষা গ্রহণ করে ছড়িয়ে দিতে আদেশ দেন, যা নিয়মিত অবতীর্ণ হতো।

কুরআন এর আয়াত সংকলন

বলা হয় যে, কিছু কুরাইশ যাদেরকে বদর যুদ্ধে বন্দী করা হয়েছিল, তারা কিছু মুসলিমকে তৎকালীন সরল লিখন পদ্ধতি শেখানোর পর তাদের স্বাধীনতা ফিরে পায়।

এইভাবে মুসলমানদের একটি দল ধীরে ধীরে সাক্ষর হয়ে ওঠে। প্রাথমিকভাবে, খেজুরের ডাল, হাড় ইত্যাদিতে কুরআনের আয়াত লিখিত হয়। যাইহোক, ৬৩২ সালে মুহাম্মদ সাঃ-এর মৃত্যুর সময় কুরআন বইয়ের আকারে লিপিবদ্ধ ছিল না।

আলেমদের মধ্যে এ ব্যাপারে ঐকমত্য আছে যে মুহাম্মাদ সাঃ নিজে আয়াতগুলো লেখেননি।

কুরআন সংকলন

প্রথমে আবু বকর রাঃ রাজি না হলেও ওমর রাঃ এর অনুরোধে রাজি হন।

কুরআন সংরক্ষণের এ দ্বায়িত্ব মুহাম্মাদ সাঃ এর সময়ের ওহি লেখক সাহাবি যায়েদ ইবনে সাবিত এর উপর প্রদান করা হয়।

যায়েদ ইবনে সাবিত নিজে হাফেজে কুরআন ছিলেন।

তিনি কুরআন সংকলন করার ব্যাপারে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন। একটি হলো-কুরআনের আয়াতটি সংশ্লিষ্ট সাহাবা মুখস্থ বলবেন, অপরটি হলো তিনি মুহাম্মাদ সাঃ- এর সময়ে লিখিত ঐ আয়াতটি প্রদর্শন করবেন।

তিনি বহু যাচাই বাছাই করার পর সাহাবায়ে কেরামের রাঃ নিকট রক্ষিত মুহাম্মাদ সাঃ- এর জীবদ্দশায় লিখিত বিভিন্ন পান্ডুলিপি থেকে সে সময়ের আবিষ্কৃত বিশেষ কাগজে গ্রন্থাকারে কুরআন লিপিবদ্ধ (যা সউফ নামে পরিচিত) করেন। লিপিবদ্ধ কুরআনটি হযরত আবু বকর রাঃ- এর তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।

তার ওফাতের পর এটি হযরত ওমর এর হেফাজতে থাকে।

উসমান রাঃ-এর জামানায় কুরআন

তৃতীয় খলিফা উসমান রাঃ এর যুগে ইসলামি সম্রাজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে। ইসলামের এ প্রসারের ফলে বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষী লোকেরা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে। তাদের অনেকেই কুরআনের গঠন পদ্ধতি অনুসরণ করে কুরআনের বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করতে পারত না।

বিশেষ করে আরমেনিয়া এবং আজারবাইজান যুদ্ধে সমবেত মুসলমানদের কুরআন পাঠ পদ্ধতির বিভিন্নতা দেখে বিশিষ্ট সাহাবি হুযাইফা রাঃ, খলিফা উসমান রাঃ কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি অবিলম্বে এ নিয়ে নেতৃস্থানীয় সাহাবাদের সাথে পরামর্শ করে চার জন বিশিষ্ট সাহাবা সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করেন।

এ চার জন সাহাবা হচ্ছেন-

  • যায়েদ ইবনে সাবিত
  • আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর
  • সাইদ ইবনুল আস
  • আব্দুর রহমান ইবনে হারিস
আল কুরআন

তথ্যসূত্র

সংগ্রহ – Home | BOOKS | Facebook | Youtube

One thought on “কুরআন এর জ্ঞান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *