ওযু সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

নখ পলিশ থাকলে কি ওযু হবে?

উত্তরঃ নখ পালিশ বা গাঢ় রঙের কোন কিছু ওযুর অঙ্গে থাকলে তা উঠিয়ে না ফেলা পর্যন্ত ওযু হবে না। তবে মেহেদীর রঙে কোন সমস্যা নেই। উল্লেখ্য, ওযুর অঙ্গে নখ পরিমাণ কোন জায়গাও শুকনো থাকলে ওযু হবে না। আর ওযু না হলে নামাযও হবে না, কাবাঘরে তাওয়াফও হবে না।

প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার বেলায় নির্দিষ্ট কোন দুআ পড়া লাগে কি?

কিছু কিছু বইতে প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার ভিন্ন ভিন্ন দু’আর কথা লেখা আছে। এগুলোর কোনটিই সঠিক নয়।

রাসূলুল্লাহ (স) বা তাঁর সাহাবা বা তাবেয়ীগণ কেউই এমন ধরনের নির্দিষ্ট কোন দুআ পড়েননি। কেউ কেউ ওযু শেষে কোন কোন সূরা পড়ে।

এটাও ঠিক নয়। নবী (স) তা করেননি। নবীজী (স) করেননি এমন কোন কাজ ইবাদত হিসেবে চালু করাই হলো বিদ’আত, অর্থাৎ গোনাহের কাজ।

ওযুর বিবিধ মাসাইল

  • ১. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর দু’হাত কজি পর্যন্ত আগে ধৌত করে নেওয়া। এর পূর্বে পানির পাত্রে হাত না ঢুকানো। (বুখারী)
  • ২. ওযুর সময় পানি অপচয় করা নিষেধ। এমনকি নদীর পাড়ে বসে ওযূ করলেও । ওযুতে রাসূলুল্লাহ (স) খুবই কম পানি ব্যবহার করতেন।
  • ৩. রাসূলুল্লাহ (স) ও তাঁর সাহাবীগণ ওযূর পাত্রের ভেতরে বার বার হাত ঢুকিয়ে ওযু করেছেন।
  • ৪. ওযুর সময় হাত মুখ ধোয়ার ব্যবহৃত পানির সামান্য ছিটাফুটা ঐ পাত্রে পড়ে গেলে এ পানি নাপাক হয় না ।
  • ৫. ওযূর সময় কথা বলতে, সালাম দিতে বা সালামের জবাব দিতে কোন নিষেধ নেই ।
  • ৬. ওযূ শেষে ওযূর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করা সুন্নাত। (নাসাঈ: ৯৫)
  • ৭. রাসূলুল্লাহ (স) ও তাঁর সাহাবায়ে কিরাম ওযু শেষে লজ্জাস্থানে কিছু পানি ছিটিয়ে দিতেন । এ আমলটি স্বয়ং জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (স)-কে শিক্ষা দিয়েছিলেন। (আহমাদ)।
  • ৮. ওযূর পর পবিত্র তোয়ালে বা গামছা দিয়ে ভিজা অঙ্গ মুছা জায়েয আছে। (ইবনে মাজাহ: ৪৬৮)। কেউ কেউ বলেন, ওযুর পুর্বে দাঁত মাজলে আদায়কৃত নামাযে সত্তর গুণ বেশি সাওয়াব হয়- এ কথাটি ঠিক নয়। এ কথার পক্ষে কোন সহীহ হাদীস নেই । তবে ওযূর পূর্বে দাঁত মাজা সুন্নাত এবং বড়ই সাওয়াবের কাজ।

তথ্যসূত্র

বইঃ প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত প্রথম অধ্যায় – তাহারাত বা পবিত্রতা, লেখকঃ অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *