ঈমানী দুর্বলতার লক্ষণ কারণ ও চিকিৎসা

দুর্বল ঈমানের লক্ষণ

  •  পাপে নিমজ্জিত হওয়া, হারাম কাজ করা।
  • অন্তকরণে কাঠিন্য অনুভব, উপদেশ বা জানাজা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া।
  •  ইবাদতে একাগ্রতার অভাব, বরং উদাসীনতা।
  • ইবাদত ও আনুগত্যে শৈথিলতা ও অলসতা প্রদর্শন।
  • মেজাজের ভারসাম্যহীনতা ও বক্ষের অপ্রশস্থততা।
  • কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া।
  • আল্লাহর জিকির ও দুয়ার ব্যাপারে গাফিল হওয়া।
  • হারাম কাজ হতে দেখলেও ক্রোধের সঞ্চার না হওয়া।
  •  নিজেকে প্রকাশ করতে ভালবাসা।
  • কৃপণতা।
  • কথা ও কাজে অমিল।
  • মুসলিম ভাইয়ের বিপদে খুশি হওয়া।
  •  কোন কাজ গুনাহের কিনা তা না দেখে নিজের অপছন্দের কিনা তা দেখা।
  • ভাল কাজ তুচ্ছজ্ঞান ও নেকীর কাজ গুরুত্ব না দেয়া।
  •  মুসলিমদের সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয়া।
  • ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিন্ন করা।
  • দ্বীনের কাজে দায়িত্বানুভূতি না থাকা।
  • বিপদাপদে ভীত সন্ত্রস্ত হওয়া।
  • দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ ও এর প্রতি ঝুঁকে যাওয়া।
  • অনর্থক ঝগড়া বিবাদ বা তর্কে লিপ্ত হওয়া।
  • জনশ্রুতিকে বর্ণনার জন্য গ্রহন করা।
  • নিজেকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকা।

ঈমানী দুর্বলতার কারণ

  • ১। ঈমানী পরিবেশ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা।
  • ২। সৎ ও অনুকরণযোগ্য ব্যক্তি হতে দূরে থাকা।
  • ৩। শরীয়তী জ্ঞান ও ঈমানী বই হতে দূরে থাকা।
  • ৪। গুনাহগারদের মাঝে অবস্থান করা।
  • ৫। দুনিয়ার মোহে মগ্ন হওয়া।
  • ৬। ধন-সম্পদ ও পরিবার নিয়েই মেতে থাকা।
  • ৭। উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা বিলাসী আকাঙ্ক্ষা।
  • ৮। বেশী খাওয়া, বেশী ঘুম, বেশী কথা, অধিক রাত্রিজাগরণ, কাঠিন্যতা ।

ঈমানী দুর্বলতার চিকিৎসা

  • ১। কুরআন নিয়ে চিন্তা গবেষণা করা।
  • ২। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর বড়ত্ব অনুভব এবং তাঁর নাম ও গুণাবলীর চিন্তা করা।
  • ৩। শরীয়াতের জ্ঞানার্জন।
  • ৪। নিয়মিত ইসলামী আলোচনায় উপস্থিত হওয়া।
  • ৫। বেশী বেশী নেক আমল করা ও নেক কাজে প্রতিযোগিতা করা।
  • ৬। বিভিন্ন ধরনের ইবাদাতে (শারীরিক, আর্থিক) আত্মনিয়োগ করা।
  • ৭। খারাপ পরিণতির আশঙ্কা করা ও শেষ পরিণতির ব্যাপারে সতর্কতা।
  • ৮। বেশী বেশী মৃত্যুর স্মরণ, জানাজা, দাফন ও জিয়ারতে অংশ নেয়া।
  • ৯। পরকালের মাঞ্জিল যেমন- কিয়ামত, পুলসিরাত, জান্নাত, জাহান্নাম নিয়ে চিন্তা করা।
  • ১০। প্রাকৃতিক কোন ঘটনা দেখলে পরকালের চিন্তা করা। যেমন-মেঘ, সূর্য, চন্দ্র, এদের গ্রহন।
  • ১১। সর্বদাই আল্লাহর স্মরণ বা জিকির।
  • ১২। মোনাজাত বা একাগ্রভাবে আল্লাহকে ডাকা।
  • ১৩। কামনা বাসনা কম করা।
  • ১৪। দুনিয়াকে নগন্য মনে করা।
  • ১৫। আল্লাহর নির্দেশসমূহের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন।
  • ১৬। মুমিনের সাথে সম্পর্ক গড়া ও কাফেরের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা।
  • ১৭। বিনয়ী হওয়া, দুনিয়ার চাকচিক্য পরিহার করা।
  • ১৮। অন্তরে আল্লাহকে ভালোবাসা, ভয় করা, তাঁর প্রতি সুধারনা ও ভরসা পোষণ করা, তাঁর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ও তাঁর নিকট তাওবা করা।
  • ১৯। আত্নসমালোচনা করা।
  • ২০। আল্লাহর নিকট মজবুত ঈমানের জন্য দুয়া করা।

তথ্যসূত্র

বইঃ ঈমানী দূর্বলতা, লেখকঃ শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ

সোশ্যাল মিডিয়া

Madbor Logo
Facebook logo
Twitter logo
Youtube icon

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *