ঈমান কি?
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার নাম হলো ঈমান।
মুসলিম হতে হলে ছয় বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়।
এগুলো ঈমানের স্তম্ভ। বিষয়গুলো হলো—
১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস:
আল্লাহর ওপর ঈমান আনার অর্থ এ কথা বিশ্বাস করা, আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অতুলনীয়। তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর কোনো কিছুর অভাব নেই।
তিনিই সবার সব অভাব পূরণকারী। তিনি কারো বাবা নন, ছেলেও নন। তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। একমাত্র তিনিই সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা, রক্ষাকর্তা ও পালনকর্তা, বিধানদাতা। আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই।
২. ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস:
ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপনের অর্থ হলো, ফেরেশতাদের অস্তিত্ব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। তাঁরাও আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি। আল্লাহ তাঁদের যা আদেশ করেন, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে তা পালন করেন।
৩. আসমানি কিতাবের প্রতি বিশ্বাস:
আল্লাহ তাআলা মানুষের পথ প্রদর্শনের জন্য নবী-রাসুলদের ওপর বিভিন্ন আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। এ ধরনের বড় বড় কিতাবগুলো হচ্ছে—কোরআন, তাওরাত, জাবুর ও ইঞ্জিল।
৪. রাসুলদের প্রতি বিশ্বাস:
আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে অনেক নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। সব রাসুল সত্যবাদী, সত্যায়নকারী, পুণ্যবান, সঠিক পথের দিশারি, তাকওয়াবান ও বিশ্বস্ত। নবী-রাসুলরা নিষ্পাপ। আল্লাহ তাঁদের যা কিছু দিয়ে পাঠিয়েছেন তাঁরা তা পরিপূর্ণভাবে পৌঁছে দিয়েছেন। আর সর্বশেষ রাসুল হচ্ছেন মুহাম্মদ (সা.)।
৫. পরকালে বিশ্বাস:
এ বিশ্বাস থাকতে হবে যে মৃত ব্যক্তিদের কবর থেকে আবার জীবিত করা হবে। সব মানুষ আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হবে।
আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের যাবতীয় কর্মের হিসাব নেবেন।
মিজান বা পাল্লায় আমলগুলো ওজন করা হবে। যার খারাপ কাজের চেয়ে ভালো কাজের পাল্লা ভারী হবে সে জান্নাতি হবে।
যার ভালো কাজের চেয়ে খারাপ কাজের পাল্লা ভারী হবে সে জাহান্নামি হবে।
৬. তাকদিরে বিশ্বাস:
তাকদিরে বিশ্বাস করা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাকদির হচ্ছে আল্লাহর বিশ্বজনীন নিয়মনীতি। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন—এ চেতনা লালন করা এবং তাঁর বিধিব্যবস্থায় সন্তুষ্ট থাকার মধ্যেই শান্তি ও মঙ্গল নিহিত রয়েছে।