হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল মনে করা
কোনো কিছু হালাল কিংবা হারাম করার একচ্ছত্র মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। কোনো মানুষ আল্লাহর দেওয়া হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করার অধিকার রাখে না।
তবুও অনধিকার চর্চা বশে মানুষ কর্তৃক আল্লাহকৃত হালালকে হারাম ও হারামকে হালালকরণের বহু দৃষ্টান্ত দেখা যায়। নিঃসন্দেহে এটি একটি হারাম কাজ।
আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো হালাল হারাম করার অধিকার আছে বলে বিশ্বাস করাও শির্ক।
জাহেলী তথা অনৈসলামী আইন-কানূন দ্বারা পরিচালিত বিচারালয়ের নিকট সন্তুষ্টচিত্তে, স্বেচ্ছায় ও বৈধ জ্ঞানে বিচার প্রার্থনা করা এবং এরূপ বিচার প্রার্থনার বৈধতা আছে বলে আকীদা পোষণ করা বড় শির্কের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে এ মারাত্মক শির্ক প্রসঙ্গে বলেন,
আল্লাহ্ বলেন
“আল্লাহর পরিবর্তে তারা তাদের আলেম ও সাধু-দরবেশদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে”। [সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ৩১]
আদী ইবন হাতেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আল্লাহর নবীকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনে বলেছিলেন, “ওরা তো তাদের ইবাদত করে না’। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন,
‘তা বটে। কিন্তু আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারা ওদেরকে তা হালাল করে দিলে ওরা তা হালালই মনে করে। একইভাবে আল্লাহ যা হালাল করেছেন তারা ওদেরকে তা হারাম করে দিলে ওরা তা হারামই মনে করে।”[1]
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন
“আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দীন হিসাবে গ্রহণ করে না”। [2]
অন্যত্র তিনি বলেন
“আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলোর কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ?” [3]
সোশ্যাল মিডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন
শেয়ার করুন
শেয়ার করে আপনিও হোন ইসলাম প্রচারক