ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেখায় এবং দৈনন্দিন জীবনের জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করে। এই শিক্ষাগুলো মুসলমানদের জীবনে ধার্মিকতা, সততা, সহানুভূতি ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে। ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষাগুলোর মধ্যে প্রধান কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
তাওহিদ (একত্ববাদ)
ইসলামের মূল শিক্ষার ভিত্তি তাওহিদ, যা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, এবং তিনি সমগ্র বিশ্বজগতের স্রষ্টা, মালিক ও পালনকর্তা।
নবুয়ত
মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ বিভিন্ন সময়ে নবী ও রাসূল পাঠিয়ে মানবজাতির জন্য পথনির্দেশনা প্রদান করেছেন। নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসলামের শেষ নবী হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর অনুসরণ ইসলামের মূল শিক্ষা।
সালাত (নামাজ)
ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ সালাত বা নামাজ। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় মুসলমানদের জন্য ফরজ। নামাজ মানুষকে আল্লাহর সাথে সংযুক্ত করে এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে।
পরকালীন জীবন (আখিরাত)
মুসলিম বিশ্বাসে দুনিয়া একটি ক্ষণস্থায়ী জীবন। মৃত্যুর পর প্রত্যেক মানুষকে তার কাজের হিসাব দিতে হবে।
> ভালো কাজের প্রতিদান জান্নাত।
> পাপের শাস্তি জাহান্নাম।
সিয়াম (রোজা)
রোজা ইসলামের পবিত্র মাস রমজানে পালিত হয়। এটি আত্মসংযম ও আত্মবিশুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রোজা পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন।
যাকাত
যাকাত হলো আর্থিক ইবাদতের একটি মাধ্যম। এটি সমাজের গরিব ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দান করা হয়। যাকাত দানের মাধ্যমে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করা হয়।
হজ্জ
যারা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম, তাদের জন্য জীবনে একবার হজ্জ করা ফরজ। এটি ইসলামের শেষ স্তম্ভ এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য প্রদর্শনের একটি মাধ্যম।
নৈতিক শিক্ষা
ইসলাম মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার, সত্যবাদিতা, সহানুভূতি, দয়া ও মানবিকতার শিক্ষা দেয়।
> মিথ্যা, চুরি, দুর্নীতি, এবং অন্যায় কাজ নিষিদ্ধ।
> প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনকে উৎসাহিত করে।