ইসতি আযাহ বা আউযুবিল্লাহ
পবিত্র কুরআন এ আল্লাহ্ এরশাদ করেছেন;
خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ [٧:١٩٩]
وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۚ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ [٧:٢٠٠]
বাংলা অনুবাদঃ
আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক।
আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
অন্য এক জায়গায় আল্লাহ্ বলেছেন
ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ السَّيِّئَةَ ۚ نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَصِفُونَ [٢٣:٩٦]
وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ [٢٣:٩٧]
وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ [٢٣:٩٨]
সরল অনুবাদঃ
মন্দের জওয়াবে তাই বলুন, যা উত্তম। তারা যা বলে, আমি সে বিষয়ে সবিশেষ অবগত।, বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি, এবং হে আমার পালনকর্তা! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। “(সূরা মুমিনুনঃ ২৩ঃ৯৬-৯৮)”
অন্য এক জায়গায় ইরশাদ হচ্ছে
وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ [٤١:٣٤]
বাংলা অনুবাদঃ
সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। (সূরাঃ ফুসসিলাত ৩৪)
এই কাজটি ধৈর্যশীল ও ভাগ্যবান ব্যাক্তিদের জন্য।
অর্থাৎ যখন কুমন্ত্রনা এসে পড়ে তখন সর্বস্রোতা ও স্ররবাগ্যতা আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর।
এই মর্মে এই তিনটিই আয়াত আছে এবং এই অর্থ্র কোন আয়াত নেই।
আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াতসমূহের মাধ্যমে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, মানুষের শ্ত্রুতার সবচাইতে ভাল ঔষুধ হলো প্রতিদানে তাদের সঙ্গে সৎ ব্যবহার করা।
এরুপ করলে তাঁরা তখন শ্ত্রুতা করা থেকেই বিরত থাকবেন না, বরং অকৃত্রিম বন্ধুতে পরিণত হবে।
ইসতি আযাহ বা আউযুবিল্লাহ
তাফসীর ইবনে কাছির
পৃঃ ৬৫